অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কৃষ্ণ সাগরের তীরে ইউক্রেনের দক্ষিণ অঞ্চলের বন্দর নগরী ওডেসাতে একটি অত্যধিক চাপে থাকা বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন লেগে যায়। এতে করে ওই এলাকার প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, শনিবার ওডেসার তাপমাত্রা নেমে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (৩৫.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) দাঁড়িয়েছে এবং সপ্তাহের পরের দিকে বেশির ভাগ সময় তা আরও নীচে নেমে গিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়বে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, সাবস্টেশনটি মেরামত করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, আঞ্চলিক গভর্নর ম্যাকসিম মারচেনকো বলেছেন, শহরে কখন আবারো বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে, তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
রাষ্ট্রীয় গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগোর সিইও, ভলোদিমির কুদ্রিতস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সাবস্টেশনটির গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামগুলি আর ” চাপ সহ্য করতে” না পারায় সেটি ফেটে আগুন ধরে যায়।
কুদ্রিতস্কি ওডেসাতে একটি ব্রিফিংয়ে বলেন, “[সরঞ্জাম গুলোতে] এতবার আঘাত করা হয়েছে যে, এগুলোর কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে গেছে।”
ইউক্রেন সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা তুরস্কের কাছে ওডেসায় বিদ্যুৎকেন্দ্র বহনকারী জাহাজ পাঠানোর জন্য আবেদন করবে এবং দেশব্যাপী উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক জেনারেটরের মজুদ এক দিনের মধ্যে শহরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রক।
তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আমরা যা যা করতে পারি, তাতে কয়েক সপ্তাহ নয়, হয়তো কয়েক দিন লাগতে পারে।”
তবে, কুদ্রিতস্কি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাশিয়া আবারো ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা ড্রোন হামলা করলে, পরিস্থিতি নিশ্চিতভাবে আরও ভয়াবহ হতে পারে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মস্কো। মস্কোর দাবী, তাদের হামলার লক্ষ্য কেবল ইউক্রেনের যুদ্ধ করার ক্ষমতা হ্রাস করা; কিন্তু কিয়েভ বলছে, তাদের কোন সামরিক উদ্দেশ্য নেই বরং বেসামরিক মানুষকে আঘাত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
Leave a Reply